ন্যাটোর উদ্দেশ্য কী - ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023
ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023 সম্পর্কে আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব। বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা হল ৩১। ন্যাটোর সদস্য মধ্যে ২৯ টি দেশ হল ইউরোপ ও বাকি দুইটি দেশ হল আমেরিকা। চলুন আমরা ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023 এ সম্পর্কে আলোচনা করব।
NATO আসলে কি।ন্যাটোর উদ্দেশ্য কী
পৃথিবীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের বৃহৎ শক্তি রয়েছে দুইটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবগুলোকে কেন্দ্র করে দুইটি ন্যাটো সদস্য এবং ওরারস গঠিত হয়েছিল। এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারবো NATO আসলে কি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আরো জেনে নেই।NATO এর পূর্ণরূপ হল north atlantic treaty organization. এটি আত্মপ্রকাশ পেয়েছিল ২৪ আগস্ট ১৯৪৯ সালে। দুইটি বিষয় নিয়ে এই ন্যাটো গঠিত হয়েছিল একটি হল পুঁজিবাদী ও আরেকটি হলো গণতান্ত্রিক দেশ।
আরো পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে এই পোস্টটি পড়ুন
এই জোট করার জন্য এর পেছনে কাজ করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন যথা বলা যায় সমাজতন্ত্রের প্রসার কমানোর জন্য এ ব্যাপারটি দাঁড়িয়েছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ছোট যুদ্ধ ও বড় যুদ্ধ এরকম ধরনের অর্থসজ্জা ও অস্ত্র ভান্ডার নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন আমেরিকা। কিন্তু এই সময় ব্রাসেলস একটি চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত করার পর পশ্চিম দেশগুলো আত্মরক্ষা করার জন্য আরও অনেক জোরদার হবে বলে মনে করেছিলেন। এই জন্য সেই সময় ১৯৪৯ সালে ন্যাটো চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বমোট ১১ টি দেশের সাথে ২০ বছরের জন্য একটি চুক্তি বদ্ধ হয়।
এই চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণ হলো আত্মরক্ষা। এই ১১ টি দেশ গুলো হলো আইসল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ, কানাডা এবং পর্তুগাল। গ্রীস ১৯৫২ সালে এবং ১৯৫৫ সালে তুরস্ক পশ্চিম জার্মানির ন্যাটো একটি সদস্য লাভ করেছিল। পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরি, পল্যান্ড ও স্পেন এর ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ন্যাটো একটি দেশের মধ্যে যদি হামলা হয় এর অর্থ হল নাটুভুক্ত সমস্ত দেশগুলোর উপর হামলা করা।
সেই ক্ষেত্রে বলা যায় ন্যাটো ভুক্ত দেশগুলোর কোন ধরনের যুদ্ধ হলে সব দেশ এক হয়ে মোকাবেলা করে থাকে। আবার অন্যদিকে আমেরিকান সেনাপতি ডি আইনজেন হাওরের নেতৃত্ব মাধ্যমে এ ন্যাটো সংঘটিত করা হয়েছিল। আমরা নিম্নে আরো জানবো ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023 ও উদ্দেশ্যগুলো।
ন্যাটোর উদ্দেশ্য কী
ন্যাটোর উদ্দেশ্য মূলত হল শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ও এই সদস্য গুলোর রক্ষার জন্য উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের সব দেশগুলো নিয়ে একটি সামরিকভাবে জোট গঠন করা হয়েছে। ন্যাটো জোট যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে এই বাহিনীগুলো প্রস্তুত রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এক কথায় বলা যায় আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে দুই পাড়ের অবস্থিত রয়েছে কানাডা, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এগুলো সব মিলে একই জোটে একটি সংগঠন গঠিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠা চলাকালীন মোট ১২ টি দেশ এবং ১৭ টি সদস্যর মধ্যে বড় ধরনের একটি সামরিক সংস্থা তৈরি করা হয়েছে।
ন্যাটোর সংস্থাটি ব্রাসেলসে বেলজিয়াম রাজধানী অবস্থিত রয়েছে। ন্যাটোর মূলত উদ্দেশ্য হলো যৌথভাবে একটি নিরাপত্তার চুক্তিবদ্ধ করা বা পাশাপাশি যেগুলো দেশ রয়েছে সবগুলো দেশ একত্রিত হয়ে একটি অঙ্গীকারনামা তৈরি করা। ন্যাটো ছবিও তিনজনের হাত থেকে ইউরোপ এবং পশ্চিম বার্লিন এর নিরাপত্তা রক্ষা করে। এই ন্যাটো সর্বপ্রথম দুই বছর একটি রাজনৈতিক সংগঠন ছিল কিন্তু তা পরে কোরিয়ার যুদ্ধের পর এই ন্যাটো সদস্যরা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এই কমান্ডের অধীনে সামরিকভাবে একটি কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন।
আমেরিকানদের কাছে থেকে আনা ও জার্মানদের সব কিছু দিক দিয়ে দাঁড়িয়ে রাখার জন্য একটি ঘোষণা করেছিলেন। উপরোক্ত ন্যাটোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমরা বলতে পারি যে সবগুলো দেশ মিলে একত্রিত হয়ে একটি জোট গঠন করে যে কোন ধরনের বিপদ থেকে মোকাবেলা করে উদ্ধার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।
ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব কোন দেশের
ন্যাটোর বর্তমানে মহাসচিব হলো রশিদুল ইসলাম। এ ব্যক্তি পদত্যাগ করার পর আগামী বছরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রবিস জনসন মহাসচিব হতে পারেন। মহাসচিব বডিস জনসনের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাময়িকভাবে এক জোটে স্টোনটেনবার্গ সেপ্টেম্বর মাসে অর্থাৎ আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পদত্যাগ করবেন বলে মনে করেন। বরিস জনসন যে ব্যক্তি ৫৮ বছর বয়সে প্রায় মাসের শুরুতে বেশ কয়েকটি ঝামেলা করেছিলেন এবং মন্ত্রীদের কেবিনেট গুলোর পদত্যাগ করার জন্য ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেই কারণে তিনি ৬ সেপ্টেম্বর পদে থাকতে পারবেন। ন্যাটো মহাসচিব সকল সদস্যের জন্য সর্বাবস্থায় নিযুক্ত করেছিলেন ও তা টেলিগ্রাম, একটি বড় ধরনের ভালো চাকরির সুযোগ রয়েছে জনসনের। কারণ পুতিন এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে জোট করে আন্তর্জাতিক জয়লাভ করেছিলেন। সবচেয়ে শক্তিশালী সমর্থক হল লন্ডন কিয়েভ। এ দেশটি অত্যাধিক অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে এবং তাদের দেশের যেসব সৈনিক রয়েছে তাদেরকে সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন যেন অন্যান্য কোন দেশের সাথে কোন ধরনের কেলেঙ্কারি হলে তারা পরাজয় নিয়ে না আসেন।
আরো পড়ুনঃ দুবাই কিসের জন্য বিখ্যাত এবং দুবাইয়ের আয়োতন
বিশ্লেষকরা মনে করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর মহাসচিব হিসেবে অনেক পছন্দের একটি প্রার্থী হবে বলে মনে করে থাকেন। বর্তমানে যে মহাসচিব রয়েছেন তিনি আগামী বছরে এই কারণে পদত্যাগ করবেন। ব্রিটিশের রাজনীতিবিদরা যদি ন্যাটো মহাসচিব হয়ে থাকেন তাহলে মস্কোর অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে কারণ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছিলেন যে এই বছরগুলোর মধ্যে বিরোধিতামূলক জনসনকে দায়ী হিসেবে ঘোষণা করবেন। তাই বলা যায় ন্যাটোর বর্তমান মহাসচিব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
2023 সালে ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি
ন্যাটো হল সবাই মিলে প্রতিরক্ষা করার জন্য একটি গোষ্ঠী হিসেবে বলা যায়। বেলজিয়ামের ব্রাসেলস এ এর সদর অবস্থিত রয়েছে। ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023। বর্তমানে 2023 সালে ন্যাটোর বর্তমান সদস্য দেশ হলো ৩১। ৩১ টি দেশের মধ্যে ২৯ টি হল ইউরোপের ও বাকি দুইটি হল উত্তর আমেরিকা। ১১ এপ্রিল ২০০৯ সালে আলবেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া এই ন্যাটো যোগদান করেন। ২০২০ সালের ২৭ শে মার্চ যোগদান করেছিল এবং সর্বশেষ চার এপ্রিল ২০২৩ সালে ফিনল্যান্ড যোগদান করেন। পৃথিবীতে সকল দেশগুলোর মধ্যে সামরিক বাহিনীর খরচ ৭০ ভাগ হয়।
তাই ন্যাটো কে বলা যায় নিরাপত্তার একটি ব্যবস্থা। দেশগুলো প্রতিরক্ষার জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলিপ্ত হওয়ার পর ন্যাটো সদস্য গুলো এখনো টিকে রয়েছে। দক্ষিণ রাশিয়া ও আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো এক ভাবে অভিযান গোষ্ঠী হিসাবে রয়েছে। ন্যাটোর সদস্য দেশ কয়টি 2023 সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ন্যাটোর মুসলিম সদস্য দেশ কয়টি
ন্যাটোর মুসলিম সদস্য দেশ হল দুইটি। ১৯৪৯ সালে ৪ এপ্রিল এই ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা হল টোটাল ২৮ টি। এর মধ্যে দুইটি দেশ অর্থাৎ তুরস্ক এবং আলবেনিয়া এ দুইটি দেশ হলো মুসলিম দেশ। বিশ শতাব্দীর মাঝখানে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পথচলা শুরু হয়েছিল ন্যাটোর। রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে এক গোষ্ঠী হিসাবে আস্তে আস্তে অনেক শক্তিশালী একটি জোট গঠিত হয়েছে। কোন ধরনের হামলা প্রতিহিত করার জন্য এই সংগঠনে মুসলিম দেশগুলো কাজ করে থাকে।
তারা চায় সবাই একসাথে মিলে জোট গঠিত হয়ে থাকার জন্য। ন্যাটো মুসলিম দেশ হিসেবে হলেও এ সদস্য যোগ দেয়ার কারণ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ইউরোপের সেই সময় ইউরোপকে বাঁচানোর জন্য এই ন্যাটোর মুসলিম দেশগুলো একসাথে জোট হয়ে কাজ করেছিল।
ন্যাটোর সদস্য দেশ মনে রাখার টেকনিক
ন্যাটো সদস্য দেশগুলো মনে রাখার টেকনিক অনেক সহজ। আপনি যদি চান অবশ্যই ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো মনে রাখতে চান তাহলে নিম্নে ন্যাটোর দেশগুলো মনে রাখার টেকনিকগুলো দেওয়া হল।ন্যাটো সদস্য দেশ বর্তমানে ত্রিশটি রয়েছে এগুলোর মধ্যে ইউরোপে ২৮ টি এবং উত্তর আমেরিকার দুইটি।
ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা হল মোট ৩০ টি।
- কানাডা
- বেলজিয়াম
- ফ্রান্স
- ডেনমার্ক
- ইতালি
- আইসল্যান্ড
- লুক্সোমবার্গ
- নরওয়ে
- নেদারল্যান্ড
- যুক্তরাজ্য
- পর্তুগাল
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
- গ্রিস
- জার্মানি
- তুর্কি
- চেক প্রজাতন্ত্র
- স্পেন
- পোল্যান্ড
- হাঙ্গেরি
- বুলগেরিয়া
- এস্তোনিয়া
- লিথুয়া নিয়া
- লাটভিয়া
- স্লোভাকিয়া
- রোমানিয়া
- ক্রোয়েশিয়া
- আলবেনিয়া
- উত্তর মেসিডোনিয়া
- মনটি নিগ্রো
- স্লোভেনিয়া
আরো পড়ুনঃইউক্রেনের মুদ্রার নাম কি জেনে নিন
আপনি যদি প্রতিদিন ১০টি করে নাম মুখস্ত করেন তাহলে আপনার ৩০ টি ন্যাটো সদস্য দেশ এর খুব সহজেই মুখস্ত করে নিতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url